ছবি : সংগূূহীত
চার বছর আগে ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার মধ্যকাইচাইল মাদরাসা মসজিদে চাচা রওশন আলী ও তার ভাতিজা মিরাজুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২০ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক জেসমিন আরার আদালতে এ রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক অসুস্থ থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক আলী হোসেন রায় ঘোষণার জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২০১৯ সালের ১০ আগস্ট নগরকান্দার মধ্যকাইচাইল মাদরাসা মসজিদে নিহত রওশন আলী ও মিরাজুল ইসলাম তুহিনসহ অন্যরা আছরের নামাজ শেষে বের হয়ে মাদরাসা মাঠে আসেন। সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামি আউয়াল মোল্লা ও হানিফ মিয়া ওরফে হৃদয়সহ অন্য আসামিরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আসামি আউয়াল মোল্লার হুকুমের আসামি হানিফ মিয়া ওরফে হৃদয়সহ অন্যান্য আসামিরা তাদের সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র ও শর্টগান দিয়ে উপর্যুপুরি গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই রওশন আলী ও মিরাজুল ইসলাম তুহিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন গোলাম রসুল বিপ্লব, গোলাম মাওলাসহ আরও সাত-আটজন।
এ ঘটনায় নগরকান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২২ জুলাই পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। এরপর মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যাল-১ এ পাঠানো হয়। পরে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যাল-৪ এ বদলি করা হয়। মামলার বিচার চলাকালীন আদালত ৩৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।
এ মামলার ১৬ জন চার্জশিটভুক্ত আসামি। তারা হলেন, আউয়াল মোল্লা, হানিফ ওরফে হৃদয়, এনামুল হাসান মিয়া, রেজাউল মাতুব্বর, কাইয়ুম মিয়া, রিকুল ইসলাম ওরফে রবিন শিকদার, দুলাল মিয়া, হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব মিয়া, পাঁচু মিয়া, পারভেজ মিয়া, আসাদুজ্জামান সিকদার, হাফিজুর রহমান ওরফে তুষার মিয়া, তুহিন মিয়া, শহিদুল ইসলাম ওরফে শহীদ মিয়া, কে এম রাজু আহমদ ওরফে কোরবান মিয়া, রবিউল ইসলাম ওরফে মশিউর মিয়া।
এ মামলার প্রধান আসামি আউয়াল জামিনে রয়েছেন। আসাদুজ্জামান নামের এক আসামি মারা গেছেন। আসামি পাঁচু মিয়া, রাজু ও রবিউল কারাগারে। মামলার শুরু থেকে আসামি এনামুল, পারভেজ, হাফিজুর, তুহিন ও শহিদুল পলাতক। এছাড়া জামিনে বের হয়ে আসামি হৃদয়, রেজাউল, কাইয়ুম, রবিন, দুলাল ও হাবিবুরও পলাতক।